কেতকী বসু
কোনও এক বসন্তে
কেতকী বসু
ভেজা শিমুলের গন্ধে অনামী মেয়ে আমি
ছায়া মাখা পাতার আড়ালে
সুখের আবেশে ভেসে যেতে চাইলে
চোখের সামনে ভেসে ওঠে যে ছবি
সেখানে কতটা আবেশ এনে দিতে পারে
বোঝার জন্য দূরের বাতাসকে ডেকে ছিলাম
বলেছিলাম এমনই এক সময়কে ভালবাসি আমি।
পলাশের আনন্দে সমস্ত অসুখের কথা ভুলে যাওয়ার পর
নিঃশ্বাসের গন্ধ নিতে ভেসে যাই বাতাসের সাথে
এমনি এক বসন্তে আমি পলাশের সুখ খুঁজি
পায়ের আওয়াজ থেমে গেলে কাছে ডাকি
সেই সুখ আর ভালোবাসার।
মনের আড়ালে
গল্প শুরু হলেই শেষের পাতার ওপর মন পড়ে থাকত
চরিত্র বিশ্লেষনে যে ফাঁক থাকত সেখানে সব হিসেব মিলে যাবে ভেবেই
গল্প পড়ার ইচ্ছেটা বেড়ে যেতো
কখন যে রাত পেরিয়ে সকাল হত
খেয়ালই থাকত না
এমন গল্প আমি অনেক পড়েছি
বিয়োগান্ত গল্প পড়লেই মনটা ভারি হতো
আর কুয়াশা গুলো কেমন করে
আমার চোখ ছুঁয়ে আকাশ খুঁজতো
সে শুধু আমার দিদি জানত
একদিন সেই গল্পের শিরোনামে এলাম আমি নিজেই।
ধুলো পড়া রাস্তা
তোমার সব কথা ই এখন গল্প মনে হয়
দুরন্ত ঝড়ের মধ্যে দিয়ে বাড়ি ফেরার পর
এমন কত গল্প আমি শুনেছি
তাই দু হাতের ভিতর যতটা ফাঁক থাকে
ঠিক ততটাই ভাগ ছিল আমাদের মধ্যে।
কত কিছুই তো জানা হয় নি
দুপুর হলে যে ছেলেটা মাঠের থেকে বাড়ি ফেরে
তার গন্তব্য যাই হোক না কেন
সেও এখন তফাৎ এর কারণ খুঁজছে
রাস্তার ধুলো গুণে হাত বাড়িয়ে দিলেই
ধুলোর রহস্য জানা হয় না
বিস্তর সময় বয়ে যায় শুধু
তাই কোন ভুল গল্প শোনার আগে
ভুলের খাতাটা পড়া বিশেষ জরুরি।
পাঠকের মতামতঃ